
বন্দরে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মুরাদপুর এলাকায় অবস্থিত বন্দর স্টীল মিলের সামনে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই সময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় তৈরি ১টব চাইনিজ কুড়াল, ৩টি ছোরা, ১টি চাপাতি ও ১টি ছেন দা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত হলো, বন্দর থানার বঙ্গশাসন এলাকার মৃত আউয়াল মিয়ার ছেলে খায়রুল বাদশ (৩২) একই এলাকার মৃত আব্দুল বাতেন মিয়ার ছেলে সোহেল (৩৫) একই এলাকার আব্দুল হক মিয়ার ছেলে ইমন (২৪) মৃত আব্দুল আউয়াল মিয়ার ছেলে হাসান (২৮)জাহের মিয়ার ছেলে রবিন (৩২) ও একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলী ছেলে শাহ আলম (৩৫)।
এ ঘটনায় বন্দর থানার উপ পরিদর্শক মুহাম্মদ খাইরুল বাশার বাদী হয়ে সোমবার (২৫ আগস্ট) গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় এ মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং- ৪০(৮)২৫ ধারা- ৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড ১৮৬০।
গ্রেপ্তারকৃতদের উল্লেখিত মামলায় সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত রোববার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টায় বন্দর থানার দেওয়ানবাগস্থ বন্দর স্ট্রিল মিলের গেইটের সামনে রাস্তার উপরে অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি লিয়াকত আলী বলেন, রোববার রাত দেড় টার দিকে একদল ডাকাত দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র সহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুরাদপুরের দেওয়ানবাগ এলাকায় অবস্থিত বন্দর স্টিল মিলে সামনে সমবেত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
এ সংবাদ পেয়ে টহল ডিউটি পুলিশের তিনটি টিম ঘটনাস্থানে পৌঁছিলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল পালানোর চেষ্টা করে। ওই সময় এলাকাবাসীর সহায়তায় ৬ ডাকাতকে আটক করে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় আনা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করে। তারা ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছিল।
পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ নারায়ণগঞ্জের বন্দরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে ডাকাতির পাশাপাশি সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।