
আড়াইহাজার উপজেলার পাঁচরুখী বেগম আনোয়ারা কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেনকে স্বপদে বহাল এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ কতিপয় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত করতে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর পক্ষে প্রায় ৫০০ জনের স্বাক্ষর ও মোবাইল নাম্বারসহ জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে,কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নীলিমা বসু তাঁর অনুগত দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে নানা অনিয়ম করে যাচ্ছেন।অভিযোগকারীরা দাবী করেন,কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে,কলেজের আর্থিক কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে বিভিন্ন অজুহাতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
শ্রেণিকক্ষ ও কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা টিকটক ও রিল ভিডিও বানাতে ব্যস্ত থাকেন বলে এলাকার কয়েকজন অভিভাবক এ সংবাদদাতার কাছে অভিযোগ করেছেন।এসব কর্মকাণ্ডের কারণে কলেজের শিক্ষার সার্বিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগকারীরা দাবী করেন। জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ ছাড়া এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব নয়।
এসব অভিযোগের বিষয় দ্রুত তদন্ত করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নীলিমা বসু ও ননএমপিও শিক্ষক মারুফ, মুহাম্মদ মুফাজ্জল হুসেন, আবু আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী। আড়াইহাজার উপজেলার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে পুনর্বহাল করলে কলেজের শিক্ষার মান্নোয়ন হবে এবং কলেজের শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে অভিযোগকারীরা মনে করেন।
বহিস্কৃত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, মিথ্যা ও বনোয়াট অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে বহিস্কার করা হয়েছে। বিগত প্রায় এক বছরেও আমার বিরূদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমান করতে পারে নাই। আমি কতিপয় শিক্ষকের ষড়যন্ত্রের শিকার।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নীলিমা বসু বলেন, আমার বিরূদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়।