
সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত ১ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দীন মোল্লার দোকানপাট ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ২নং ঢাকেশ্বরী বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন বীর মুক্তিযোদ্ধারা মালিকানাধিন ৪টি দোকান ভেঙে নিয়ে যায় একটি চক্র।
জানা গেছে, বিগত ৫ আগষ্টের পর বিভিন্ন এলাকায় লুটপাট ও ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় ডাবুইল্লা, মামুন, জাকির, জামাল মিয়াসহ আরও অজ্ঞাত নামা বেশ কয়েকজন ওই মুক্তিযোদ্ধার কাছে এক লাখ টাকা চাদা দাবি করে।
টাকা না দিলে দোকান পাট ভাঙচুর করার হুমকি দেয় তারা। পরে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডি নং- ২২৯, তারিখ-০৪-১০-২৪ ইং। জিডি করার পরেও তারা ঐ দোকানের ভাড়া জোরপূর্বক তুলতো।
কেনো ভাড়ার টাকা তারা নিয়ে জানতে চাইলে তারা উত্তরে বলে তোদের দোকান ভেঙে দেবো। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ২৪ জুলাই দুপুরে উল্লেখিত দোকানগুলো ভেঙে চুরমার সহ নিশ্চহ্ন করে দেয় ঐ চক্রের সদস্য্যরা।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধারা মহিউদ্দীন মোল্লা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ ২নং ঢাকেশ্বরী বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়কের পাশে ৪টি দোকান নির্মাণ করেছি এবং শান্তিপুর্ণ ভাবো ভোগ দখল করছি। কিন্তু ৫ আগষ্টের পর কতিপয় লোকজন দোকানগুলো দখল করার পায়তারা সহ এক লাখ টাকা চাদা দাবি করে।
এ ঘটনায় থানায় জিডি করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এরপর আজকে বৃহস্পতিবার দোকানগুলো ভেঙে লুট করে নিয়ে যায় ডাবুউল্লাসহ গংরা।
মহিউদ্দীন মোল্লা জানান, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধারা হয়েও চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা সহ দোকানগুলো ফেরত পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তিনি ।
স্থানীয়রা জানান, ৫ আগষ্টের পর বিএনপির কিছু ছেছরা নেতারা নিজেদের আখের গোছাতে বিভিন্ন মানুষের বাড়ি-ঘর, জায়গা-জমি ও দোকানপাট দখল, লুটপাট ও ভাঙচুর করতে দেখেছি। এখন দেখলাম একজন মুক্তিযোদ্ধার দোকানপাট ভাংচুরের ঘটনা । এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী এলাকাবাসির।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।