
নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম বলেন, শেখ হাসিনারসহ যারা ফ্যাসিবাদের সাথে যুক্ত তারা এখন সবাই দেশ ত্যাগ করেছেন। কিন্তু এখনো তাদের প্রেতাত্মা দেশী- বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা দেশে একটি বিশৃঙ্খলা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যারা জুলাই বিপ্লব করেছিল তারা এখন সেই সকল প্রেতাত্মাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমরা দেখেছি তারা গোপালগঞ্জে গিয়ে প্রোগ্রাম করে সৃষ্টি করে এদেশে একটি বিশৃঙ্খলা করা পাঁয়তারা করছে। আর কেয়ার টেকার সরকার তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের প্রটোকল দিয়ে সুবিধা দিচ্ছে।
সোমবার (২১ জুলাই) সকাল এগারোটায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্ইদ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে মহানগর শ্রমিকদলের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুনে সু-সজ্জিত হয়ে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ডিআইটি বিএনপির পুরোনো পার্টি অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময়ে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, আমরা কেয়ারটেকার সরকারকে বলতে চাই আপনারা এদেশের বিশ কোটি মানুষের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার লক্ষ্যে ও অধিকার এবং গণতন্ত্রের লোককে আপনারা দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনার আপনাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।
গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন ছাড়া কোন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। আপনারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। এদেশের মানুষ যাদের পক্ষে রায় দিবে তাদের হাতে ক্ষমতা বুঝিয়ে দিয়ে নিজেদের সম্মান নিজেরা নিয়ে চলে যাবেন। অন্যথায় এদেশের মানুষ ওই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার মতন আপনাদের বিরুদ্ধে কিন্তু আন্দোলন সংগ্রাম করবে।
তিনি আরও বলেন, আর আপনারা যারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করেছেন আপনারা কি দেখেছেন উনি কে কি ওনার পরিচয়। তারেক রহমান হল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য সন্তান। জিয়াউর রহমান এদেশের স্বাধীনতার পতাকা এনে দিয়েছিলেন এবং খালেদা দিয়ে এই দেশ থেকে সর্বপ্রথম স্বৈরাচারকে মুক্ত করেছিল।
আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিএনপি'র কর্ণধার তারেক রহমানসহ যারা বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের কটুক্তি মূলক বক্তব্য দেন তাদেরকে হুশিয়ার করে বলতে চাই ভবিষ্যতে যদি এই ধরনের কোন বক্তব্য দেন তাহলে মহানগর শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা কিন্তু আর বসে থাকবে না আপনাদেরকে এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
এসময়ে বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশিক ফেরদৌস, মো: সেলিম হোসেন, লিটন মিয়া, আঃ আজিজ মিলন, শামসুদ্দিন, জুয়েল হোসেন, আবদুল হাই রিঙ্কু, মজিবুর রহমান, সদস্য আ: মতিন ভূইয়া, বিল্লাল হোসেন, আল আমিন, অলিক, আজিম সরদার, মানিক, শাহীন, জাহাঙ্গীর, মহানগর শ্রমিকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক অলক ইসলাম, সদস্য সচিব কামাল মোল্লা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিম সর্দার, , সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শ্রমিকদলের সদস্য সচিব শরীফ হোসেন, বন্দর উপজেলা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব এহসান উদ্দিন সাগর, মহানগর শ্রমিকদলের সভাপতি বেলাল খান, সাধারণ সম্পাদক মো. মুসাসহ মহানগর শ্রমিকদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।