
পুলিশ পরিচয়ে পাবনা জেলার সিরাজগঞ্জ থেকে আলমগীর হোসেন সালমান নামে এক যুবককে ধরে এনে ফতুল্লায় একটি বাড়িতে ৩দিন আটক রেখে বর্বর নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।
খবর পেয়ে সোমবার বিকেলে ফতুল্লার কুতুবআইল এলাকায় হাজি আলাউদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আটক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই বাড়ি থেকে দুস্কৃতিকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
উদ্ধার হওয়া আলমগীর হোসেন সালমানের বড় বোন নুরুন্নাহার বেগম জানান, ফতুল্লার কুতুবআইল এলাকায় হাজি আলাউদ্দিনের বাড়িতে বাসা বাড়ির কাজ করত। ১৫/২০দিন আগে কাজ ছেড়ে গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার সিরাজগঞ্জে চলে যায়।
২৬ জুলাই সকালে ৮/১০ জন লোক পুলিশ পরিচয় দিয়ে সালমানকে মাইক্রোতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারপর দিন একটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে আমাকে সালমানের মুক্তিপন হিসেবে ৪ লাখ টাকা দাবী করেন এবং সালমানকে মারধরের চিৎকার শুনায়। তখন ফতুল্লায় এসে থানায়সহ বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ করি।
আলমগীর হোসেন সালমান বলেন, হাজি আলাউদ্দিনের ছেলে সুমন আমাকে টাকা উঠানোর জন্য ইসলামী ব্যাংকে পাঠায়। সেখান থেকে ৬ লাখ টাকা উঠিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে যাই। এরপর ২৬ জুলাই পুলিশ পরিচয়ে ৮-১০ জন লোক আমাদের গ্রামের বাড়ি পাঠায় সুমন। তারা সেখান থেকে ধরে এনে হাত পা বেধে ৩দিন যাবত বেধড়ক মারধর করছে।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, আলমগীর হোসেন সালমানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সুমনের পক্ষ থেকে সালমানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
কিন্তু সুমন পুলিশের সহযোগীতা না নিয়ে সালমানকে ধরে এনে বাসায় আটক রেখে টাকা আদায়ের জন্য বর্বর নির্যাতন করতে পারেনা। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।