
বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে নিজের ছোড়া হাতবোমা বিস্ফোরণে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এ সময় এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে আরও দুই ডাকাত আহত হয়েছেন।
আহতদের গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের নাম চাঁন মিয়া। আহতদের কারো নাম পরিচয় জানা যায় নি।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে ডাকাতরা মেঘনা নদী হয়ে নৌপথে এসে কলাগাছিয়া এলাকার বাড়িগুলোতে ডাকাতির চেষ্টাকালে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে সাত থেকে আট জনের একটি ডাকাত দল মেঘনা ও শীতলক্ষ্যা নদীর মধ্যেবর্তী এলাকায় তীরে ট্রলার থামিয়ে কলাগাছিয়া বাজারে আসে। এক পর্যায়ে তারা বাজারের দোকানে ও বাড়িঘরে ঢুকে পড়ে।
এ সময় টের পেয়ে এলাকাবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ধাওয়া দিলে এক ডাকাত হাত বোমা ছুড়লে সেই বোমা বিস্ফোরণে ওই ডাকাতের এক হাত উড়ে যায়। আহত অবস্থায় সে নদীতে পড়লে পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. রকিবুল হোসেন জানান, খবর পেয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া আহতদের গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত ও আহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টাসহ এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত হোসেন জানান তারা পরিকল্পিতভাবে এবং সংর্ঘবদ্ধ হয়ে এই গ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়েছিল। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তবে গ্রামবাসী পুলিশকে খবর না দিয়ে বেআইনিভাবে ডাকাতদের গণপিটুনি দেওয়া সমীচীন হয়নি।
পুলিশ ডাকাত দলের পালিয়ে যাওয়া সদস্যদের গ্রেপ্তারসহ সংঘবদ্ধ বেআইনি জনতাকে আইনের আওতায় আনবে বলে উল্লেখ করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।