নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বৃহস্পতিবার,

২৩ অক্টোবর ২০২৫

বন্দরের মুরাদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বৃদ্ধি  

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০১:৩২, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

বন্দরের মুরাদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বৃদ্ধি  

 বন্দরের মুরাদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিশোর গ্যাং লিডার শিমুলের নেতৃত্বে এলাকায় অপকর্ম করছে তার সাংঙ্গপাঙ্গরা। স্থানীয় ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।

সম্প্রতি কিশোর গ্যাং লিডার শিমুলের নেতৃত্বে স্থানীয় ভাড়াটিয়া সুমনের পরিবারের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে । এ ঘটনায় বাড়িওয়ালা আব্দুল কুদ্দুস প্রতিবাদ করলে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার স্ত্রী হালিমা বেড়মকে মারধর করে।

এ ঘটনায় বাড়িওয়ালা আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বন্দর থানায় অভিযোগ দয়ের করেন। অভিযুক্ত কিশোরগ্যাং সদস্যরা হলো, একই এলাকার মনির হোসেনের ছেলে  মোঃ শিমুল (২৫), ২১ মোঃ হিমেল (২২), স্ত্রী দিলি বেগম, আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে মোঃ অহি ও আর আলী।

পুলিশ অভিযোগের তদন্তে গেলে কিশোরগ্যাং লিডার শিমুল হাতিয়ে নেয়া ২০ হাজার টাকার মধ্যে ১০ হাজার টাকা ফেরত দেয় এবং বাকি ১০ হাজার টাকা মাস শেষে তার মা দিয়ে দেওয়ার অঙ্গিকার করে।

পুলিশী তদন্তের সময় ঘটনার স্বাক্ষি দেয়ায় কিশোর গ্যাং লিডার শিমুল সামসুল হক নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় পুনরায় থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কিশোরগ্যাং সমদ্যরা তার বাড়িসহ আশেপাশের বিভিন্ন বাড়ির ভাড়াটিয়াদের সরলতা এবং দুর্বলতার ’সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন ভীতি প্রদর্শন করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।

কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচারে এলাকায় কোন ভাড়াটিয়া শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে না। কিশোর গ্যাং লিডার শিমুল তার বাড়ির পাশে মুদি দোকান দিয়ে দোকানে বসে কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের নিয়ে আড্ডা করে।

গত ১৬ অক্টোবর তার বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ সুমন (৩৫) তার ব্যবহৃত (এক লক্ষ) টাকা মূল্যের স্মার্ট ফোন বিক্রি করতে চাইলে শিমুল গ্যাং  স্মার্ট ফোনটি পয়ত্রিশ হাজার টাকায় ক্রয় করতে চায়।

কিন্তু সুমন তার কাছে ফোন বিক্রি না করায় গত ১৭ অক্টোবর বন্দরের উত্তর লক্ষনখোলায় মোঃ সুমন (৩৫) এর শ্বাশুরী মনজিলা বেগম (৫৫) ভাড়া বাসায় গিয়ে তাকে প্রায় ৪ ঘন্টা আটক রেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বিভিন্ন হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিশ হাজার টাকা জোরপূর্বক হাতিয়ে নেয়।

স্থানীয়রা জানান, কিশোরগ্যাংয়ের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট। তাদের প্রতিহত না করলে এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি ঘটবে। তাই পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। এ ব্যপারে তদন্তকারী দারোগা কামাল হোসেন বলেন, টাকা নেয়ার বিষয়টি সত্য।

তারা ইতিমধ্যে ১০ হাজার টাকা ফেরৎ দিয়েছে। বিষয়টি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যপারে কিশোর গ্যাং লিডার শিমুল জানান, আমার কাছে ফোন বিক্রি করে আবার অন্যত্রস্থানে বিক্রি করে দিয়েছে। তাই আমি তার পরিবারের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা এনেছি।###